আহত খতিব মাওলানা আ. ন. ম. নূরুর রহমান মাদানী (৬০) চাঁদপুর সদরের গুনরাজদি এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলার বিভিন্ন মসজিদে নিয়মিত খুতবা দিয়ে থাকেন। অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেন (৫০) সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আইয়ুব আলীর ছেলে। বর্তমানে শহরের বকুলতলায় বসবাস করেন এবং ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কয়েক সপ্তাহ আগে এক জুমার খুতবায় খতিব নূরুর রহমান মাদানী মহানবী (সা.)-কে ‘ইসলামের বার্তাবাহক’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। এ বক্তব্যে ক্ষুব্ধ হয়ে বিল্লাল হোসেন শুক্রবার জুমার নামাজ শেষে খতিবের ওপর ধারালো চাপাতি নিয়ে হামলা চালান। তার চাপাতিতে লেখা ছিল, “আমার নবীজীকে অপমান করার কারণে তাকে হত্যা করা হলো।”
হামলায় খতিবের কান মারাত্মকভাবে জখম হয়। মসজিদের মুসল্লিরা তাকে দ্রুত চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি চিকিৎসাধীন।
চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো. বাহার মিয়া জানান, হামলাকারী বিল্লাল হোসেন ঘটনাস্থলেই আটক হন এবং তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জামায়াতে ইসলামি, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ বিভিন্ন ইসলামিক দল। চাঁদপুর জেলা জামায়াতের সেক্রেটারি অ্যাডভোকেট শাহজাহান মিয়া বলেন, “আমরা ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাই এবং হামলাকারীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”